১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
স্থানীয় সংবাদ

মিশিগানে ‘বাংলাটাউন’ নামক ফলকটিতে কে বা কারা বাংলাদেশের পতাকাটি মুছে দিয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের  ডেট্রয়েট শহরের কনান্ট অ্যাভিনিউ এর জেইন ফিল্ডে প্রবাসী বাংলাদেশি কর্তৃক স্থাপিত ‘বাংলাটাউন’ নামক ফলকটিতে কে বা কারা বাংলাদেশের পতাকাটি মুছে দিয়েছে। এ ঘটনায় মিশিগান প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষ প্রকাশ করছেন। প্রকৃতি পরিবেষ্টিত সুন্দর এ জায়গাটিতে নাম ফলকটি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বাংলা ও ইংরেজীতে লিখা এ ফলকটির একদিকে ( প্রবেশ মুখে) বাংলায় লিখা স্বাগতম ও ইংরেজীতে লিখা ওয়েলকাম টু বাংলাটাউন এবং বাংলাদেশ ও আমেরিকার দুটি জাতীয় পতাকার ছবি। উল্টোদিকে বাংলায় লিখা ধন্যবাদ ও ইংরেজীতে লিখা থ্যাঙ্ক ইউ ফর ভিজিটিং  বাংলাটাউন এবং একটি বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি রয়েছে। সম্প্রতি অনেকের চোখে পড়ে কে বা কারা ফলকের বাংলাদেশের পতাকার ছবিটি মুছে দিয়েছে, কিন্তু কবে কখন এ ঘটনাটি ঘটেছে তা কেউ বলতে পারেন না। এ ঘটনা জানাজানি হবার পর অনেকেই  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন, ইঞ্জিনিয়ার আহাদ আহমেদ তার ফেসবুকে লিখেছেন,  “আজ ১৪ নভেম্বর ২০২৪। মিশিগান অঙ্গরাজ্যের হেমট্রামিক শহরে সিটি নির্মিত বাংলাটাউন সাইন, যা নিয়ে মিশিগানের বাংলাদেশী আমেরিকানরা গর্ববোধ করি। এই সাইন থেকে বাংলাদেশের পতাকাটি কে বা কারা হোয়াইট আউট করে দিয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা করি। যে বা যারা এই ঘৃন্য কাজ করেছে, তাদের ঘৃনা করি। নিশ্চয় কোন অশিক্ষিত লোক এই কাজ করে নাই, শিক্ষিতরাই করেছে। এবং দু এক ঘন্টার মধ্যে অনেক শিক্ষিতরা এসে এর পক্ষে সাফাই শুরু করবে। ছিঃ তোদের ছিঃ।” আহাদ আহমেদের পোষ্টের নীচে নিবেদিতা চৌধুরী নামে একজন মন্তব্য করেছেন, “আমরা বাঙালিরা কত নীচে নামতে পারি দেখ বাঙালির কৃতিত্ব।” মোহাম্মদ আলী একই পোষ্টের নীচে লিখেন, “ওটা সঠিক হয়নি খুবই দুঃখজনক বাংলা আমাদের গৌরব আমরা দুনিয়ার যে প্রান্তেই থাকি না কেন বাংলাদেশের পতাকাকে আমরা হৃদয়ে লালন করব আমাদের গৌরব আমাদের জন্মভূমি সাইনবোর্ড থেকে মুছে গেলেও আমাদের হৃদয়ে থাকবে সব সময় এটাই আমাদের হোক সবার প্রত্যাশা, ইনশাআল্লাহ।” কবি ও সাংবাদিক বাবর বখত পোষ্টে লিখেন, “এরা তো পাকিস্তান চায়।” অনেকেই এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান, ভবিষ্যতে যেন এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সে জন্য কমুউনিটি নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এর আগেও ২০২২ সালে কে বা কারা এই নাম ফলকের উপর কালি লেপন করে দিয়েছিল। জানা গেছে ২০১৭ সালে এ নাম ফলকটি এখানে প্রতিষ্ঠা করা হয়, ফলকটি নির্মাণ করে বাংলাদেশি আমেরিকান পাবলিক অ্যাফেয়ার্স (বেপাক)।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

মিশিগানে দুর্গা টেম্পলের বিজয়া পূনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

স্থানীয় সংবাদ

মিশিগানে ‘বাংলাটাউন’ নামক ফলকটিতে কে বা কারা বাংলাদেশের পতাকাটি মুছে দিয়েছে

আপডেট টাইম : ১১:৩২:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের  ডেট্রয়েট শহরের কনান্ট অ্যাভিনিউ এর জেইন ফিল্ডে প্রবাসী বাংলাদেশি কর্তৃক স্থাপিত ‘বাংলাটাউন’ নামক ফলকটিতে কে বা কারা বাংলাদেশের পতাকাটি মুছে দিয়েছে। এ ঘটনায় মিশিগান প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষ প্রকাশ করছেন। প্রকৃতি পরিবেষ্টিত সুন্দর এ জায়গাটিতে নাম ফলকটি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বাংলা ও ইংরেজীতে লিখা এ ফলকটির একদিকে ( প্রবেশ মুখে) বাংলায় লিখা স্বাগতম ও ইংরেজীতে লিখা ওয়েলকাম টু বাংলাটাউন এবং বাংলাদেশ ও আমেরিকার দুটি জাতীয় পতাকার ছবি। উল্টোদিকে বাংলায় লিখা ধন্যবাদ ও ইংরেজীতে লিখা থ্যাঙ্ক ইউ ফর ভিজিটিং  বাংলাটাউন এবং একটি বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি রয়েছে। সম্প্রতি অনেকের চোখে পড়ে কে বা কারা ফলকের বাংলাদেশের পতাকার ছবিটি মুছে দিয়েছে, কিন্তু কবে কখন এ ঘটনাটি ঘটেছে তা কেউ বলতে পারেন না। এ ঘটনা জানাজানি হবার পর অনেকেই  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন, ইঞ্জিনিয়ার আহাদ আহমেদ তার ফেসবুকে লিখেছেন,  “আজ ১৪ নভেম্বর ২০২৪। মিশিগান অঙ্গরাজ্যের হেমট্রামিক শহরে সিটি নির্মিত বাংলাটাউন সাইন, যা নিয়ে মিশিগানের বাংলাদেশী আমেরিকানরা গর্ববোধ করি। এই সাইন থেকে বাংলাদেশের পতাকাটি কে বা কারা হোয়াইট আউট করে দিয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা করি। যে বা যারা এই ঘৃন্য কাজ করেছে, তাদের ঘৃনা করি। নিশ্চয় কোন অশিক্ষিত লোক এই কাজ করে নাই, শিক্ষিতরাই করেছে। এবং দু এক ঘন্টার মধ্যে অনেক শিক্ষিতরা এসে এর পক্ষে সাফাই শুরু করবে। ছিঃ তোদের ছিঃ।” আহাদ আহমেদের পোষ্টের নীচে নিবেদিতা চৌধুরী নামে একজন মন্তব্য করেছেন, “আমরা বাঙালিরা কত নীচে নামতে পারি দেখ বাঙালির কৃতিত্ব।” মোহাম্মদ আলী একই পোষ্টের নীচে লিখেন, “ওটা সঠিক হয়নি খুবই দুঃখজনক বাংলা আমাদের গৌরব আমরা দুনিয়ার যে প্রান্তেই থাকি না কেন বাংলাদেশের পতাকাকে আমরা হৃদয়ে লালন করব আমাদের গৌরব আমাদের জন্মভূমি সাইনবোর্ড থেকে মুছে গেলেও আমাদের হৃদয়ে থাকবে সব সময় এটাই আমাদের হোক সবার প্রত্যাশা, ইনশাআল্লাহ।” কবি ও সাংবাদিক বাবর বখত পোষ্টে লিখেন, “এরা তো পাকিস্তান চায়।” অনেকেই এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান, ভবিষ্যতে যেন এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সে জন্য কমুউনিটি নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এর আগেও ২০২২ সালে কে বা কারা এই নাম ফলকের উপর কালি লেপন করে দিয়েছিল। জানা গেছে ২০১৭ সালে এ নাম ফলকটি এখানে প্রতিষ্ঠা করা হয়, ফলকটি নির্মাণ করে বাংলাদেশি আমেরিকান পাবলিক অ্যাফেয়ার্স (বেপাক)।