যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের বাংলা টাউন খ্যাত ডেট্রয়েটের শেইন ফিল্ড গতকাল ১ সেপ্টেম্বর রোববার ছুটির দিন বিকেল নামতেই চঞ্চল হয়ে ওঠে। মনে হলো শহরের সব সড়ক যেন এখানে এসেই শেষ হয়েছে। সন্ধ্যার আগেই মাঠ কানায় কানায় ভরে ওঠে। এ মাঠেই গত ৩০ আগষ্ট শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে তিনদিন ব্যাপী উত্তর আমেরিকার বৃহত্তম বাংলাদেশী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফোবানার ৩৮তম সম্মেলন। আয়োজক বাংলাদেশ এসোসিয়েশান অব মিশিগান। ৩০ আগস্ট বিকেল ৬টায় হিলটন গার্ডেন ইন এ হয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। তিনদিন ব্যাপী আয়োজনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলা টাউনখ্যাত ডেট্রয়েটের জেইন ফিল্ডে এবং হোটেল একোমডেশান, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, কাব্য জলসা, বিজনেস নেটওয়ার্কিং সামিট, প্রথম আলো ফাউন্ডশনের ‘দেখা সাক্ষাৎ’সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়েছে সাউথ ফিল্ড শহরের হিলটন গার্ডেন ইন হোটেলে। এ তিন দিনের মেলায় ছিল বিশেষ সেমিনার, ওয়ার্কশপ, আলোচনা সভা, বিজনেস নেটওয়ার্কিং সামিট, সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান, ব্যান্ড শো, ট্যালেন্ট শো, ইয়থ ফোরাম, নৃত্য, রাফেল ড্র, দেশী আড্ডা, ছিল ৭০ এর অধিক স্টল যাতে ছিল বাংলাদেশি কাপড়, খেলনা, ঘর সাজানোর জিনিষ, রকমারি খাবারের দোকান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ছিল বিশেষ আয়োজন। তিনদিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন বাংলাদেশ ও উত্তর আমেরিকার জনপ্রিয় শিল্পীরা। জনপ্রিয় শিল্পী বালাম একের পর এক তার জনপ্রিয় গানগুলি পরিবেশন করেন, দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে তার গান শুনেন এছাড়াও সঙ্গীত পরিবেশন করেন তোশিবা, ইকবাল হিমেল, জায়েদ খান, মুন্নী, অংকন, বিন্দু কণাসহ আরো অনেকে।
মিশিগান হচ্ছে আমেরিকার মধ্যে দ্বিতীয় বাঙালি জনবহুল অঙ্গরাজ্য, এখানে ৫০ হাজারের বেশী প্রবাসী বাংলাদেশি বাস করেন বলে ধারণা করা হয়।
মিশিগান ছাড়াও নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, কানাডা থেকেও অনেক দর্শকশ্রোতা এ সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করেন। ফোবানার চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান, ফোবানার প্রাক্তন চেয়ারপারসন ও আউটস্ট্যান্ডিং মেম্বার বেদারুল ইসলাম বাবলা, ফোবানার একজিকিউটিভ জয়েন্ট সেক্রেটারি মো: কবির কিরণ, প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার সম্পাদক ইব্রাহীম চৌধুরীসহ ফোবানার আরো অনেক কর্মকর্তা এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। কর্মকর্তারা জানান, ফোবানার মূল লক্ষ্য হচ্ছে উত্তর আমেরিকায়
বাংলাদেশি সংস্কৃতিকে ধরে রাখা, নতুন প্রজন্মের কাছে তার প্রচার ও প্রসারে সাহায্য করা, উত্তর আমেরিকায় বসবাসকারি বাংলাদেশিদের মধ্যে যোগসুত্র গড়ে তোলা, সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়িক সেতু বন্ধন তৈরী করা, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা।