১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
সংস্কৃতি

ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান ডিয়ারবর্ণে পিঠা উৎসব

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ‘ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান ডিয়ারবর্ণ’ এ ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পিঠা উৎসব পালন করা হয়েছে। জানা গেছে, ৬ নভেম্বর বুধবার  ইউনিভার্সিটির ‘কোচ অব হলে’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ‘অর্গানাইজেশন অব বাংলাদেশি স্টুডেন্টেস’। পুরো হল  বাংলাদেশি কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে  সাজানো হয়েছিল। অনুষ্ঠানে ছিল বিভিন্ন স্বাদের ও বর্ণের পিঠার প্রদর্শনী, সেসব পিঠার উৎপত্তিস্থল, স্বাদ, কি উপকরণ দিয়ে তৈরী এসব বিষয় আগত অতিথিদের পরিচয় করিয়ে দেন উদ্যোক্তারা । সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য, একক ও দলীয় সঙ্গীত। ছিল খেলাধূলা, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী পর্ব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাবৃন্দ। স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির অনেকেই এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সবাইকে সংগঠনের পক্ষ থেকে নৈশভোজে আপ্যায়িত করা হয়। সংগঠনের সভাপতি খাইরুল মোত্তাকিন তানিন জানান, এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ভাষা, ইতিহাস পরিচিত করে তোলা এবং বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন  ভাষাভাষী লোকদের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা।  উদ্যোক্তারের একজন রাজর্ষি চৌধুরী গৌরব এই প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে জানান, এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মিশিগানে বসবাসরত বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের বিশেষ করে এখানে জন্ম নেয়া ও বেড়ে ওঠা তরুণ তরুণীদের মধ্যে বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি চর্চা বিষয়ে আগ্রহী করে তোলা এবং সামাজিক সম্পর্ক তৈরি করা। পাশাপাশি ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের কাছে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি তুলে ধরা। উল্লেখ্য সংগঠনটি এর আগেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতির সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠান করেছে।

ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান ডিয়ারবর্ণে পিঠা উৎসব ছবি : সংগৃহিত

মিশিগানে বাঙালির নতুন প্রজন্মের মধ্যে বাঙলা সংস্কৃতি, ভাষা, ইতিহাস, কিংবদন্তি তথা বাঙালির জীবনাচরন পৌঁছে দেয়ার ব্যাপারে কমুউনিটি কি ভূমিকা নিচ্ছে এ প্রশ্নের জবাবে বাংলা প্রেস ক্লাব অব মিশিগান ইউএসএ এর সহ সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক, গবেষক পার্থ সারথী দেব বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে বাঙালি কমুউনিটির বিভিন্ন সংগঠন এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে যেমন, ‘হ্যামট্রাম্যাক হিস্ট্রিক্যাল মিউজিয়াম’ এ গত ২ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে শিল্পকলার এক প্রদর্শনী যা ১১মে ২০২৫ পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে বাঙালির ইতিহাস,ঐতিহ্য, চিত্র, শিল্পকলার এক প্রদর্শনী। এতে রয়েছে কারুশিল্প, রিকশা পেইন্ট, বাঁশ ও বেতের কাজ, ধাতু, কাপড়ের কাজ, নকশীকাঁথা, পটচিত্রসহ বিভিন্ন কাজের সমাহার। উদ্যাক্তাদের একজন প্রদর্শনী কমিটির সদস্য নৃতত্ত্ববিদ রুমানা রহমান আলাপকালে জানান, এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাঙালির গল্পগুলো অন্যান্য সম্প্রদায় ও জাতিগোষ্ঠির মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে তাদের সাথে একটা সেতুবন্ধনের কাজ করা। আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভাষা, সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা সম্বন্ধে তাদের একটা ধারণা দেয়া। তাছাড়া  সিম্ফনি ক্লাব অব মিশিগান বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ কাজ করে যাচ্ছে।”

Tag :
About Author Information

সংস্কৃতি

ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান ডিয়ারবর্ণে পিঠা উৎসব

আপডেট টাইম : ০৮:১১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ‘ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান ডিয়ারবর্ণ’ এ ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পিঠা উৎসব পালন করা হয়েছে। জানা গেছে, ৬ নভেম্বর বুধবার  ইউনিভার্সিটির ‘কোচ অব হলে’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ‘অর্গানাইজেশন অব বাংলাদেশি স্টুডেন্টেস’। পুরো হল  বাংলাদেশি কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে  সাজানো হয়েছিল। অনুষ্ঠানে ছিল বিভিন্ন স্বাদের ও বর্ণের পিঠার প্রদর্শনী, সেসব পিঠার উৎপত্তিস্থল, স্বাদ, কি উপকরণ দিয়ে তৈরী এসব বিষয় আগত অতিথিদের পরিচয় করিয়ে দেন উদ্যোক্তারা । সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য, একক ও দলীয় সঙ্গীত। ছিল খেলাধূলা, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী পর্ব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাবৃন্দ। স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির অনেকেই এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সবাইকে সংগঠনের পক্ষ থেকে নৈশভোজে আপ্যায়িত করা হয়। সংগঠনের সভাপতি খাইরুল মোত্তাকিন তানিন জানান, এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ভাষা, ইতিহাস পরিচিত করে তোলা এবং বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন  ভাষাভাষী লোকদের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা।  উদ্যোক্তারের একজন রাজর্ষি চৌধুরী গৌরব এই প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে জানান, এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মিশিগানে বসবাসরত বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের বিশেষ করে এখানে জন্ম নেয়া ও বেড়ে ওঠা তরুণ তরুণীদের মধ্যে বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি চর্চা বিষয়ে আগ্রহী করে তোলা এবং সামাজিক সম্পর্ক তৈরি করা। পাশাপাশি ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের কাছে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি তুলে ধরা। উল্লেখ্য সংগঠনটি এর আগেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতির সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠান করেছে।

ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান ডিয়ারবর্ণে পিঠা উৎসব ছবি : সংগৃহিত

মিশিগানে বাঙালির নতুন প্রজন্মের মধ্যে বাঙলা সংস্কৃতি, ভাষা, ইতিহাস, কিংবদন্তি তথা বাঙালির জীবনাচরন পৌঁছে দেয়ার ব্যাপারে কমুউনিটি কি ভূমিকা নিচ্ছে এ প্রশ্নের জবাবে বাংলা প্রেস ক্লাব অব মিশিগান ইউএসএ এর সহ সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক, গবেষক পার্থ সারথী দেব বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে বাঙালি কমুউনিটির বিভিন্ন সংগঠন এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে যেমন, ‘হ্যামট্রাম্যাক হিস্ট্রিক্যাল মিউজিয়াম’ এ গত ২ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে শিল্পকলার এক প্রদর্শনী যা ১১মে ২০২৫ পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে বাঙালির ইতিহাস,ঐতিহ্য, চিত্র, শিল্পকলার এক প্রদর্শনী। এতে রয়েছে কারুশিল্প, রিকশা পেইন্ট, বাঁশ ও বেতের কাজ, ধাতু, কাপড়ের কাজ, নকশীকাঁথা, পটচিত্রসহ বিভিন্ন কাজের সমাহার। উদ্যাক্তাদের একজন প্রদর্শনী কমিটির সদস্য নৃতত্ত্ববিদ রুমানা রহমান আলাপকালে জানান, এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাঙালির গল্পগুলো অন্যান্য সম্প্রদায় ও জাতিগোষ্ঠির মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে তাদের সাথে একটা সেতুবন্ধনের কাজ করা। আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভাষা, সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা সম্বন্ধে তাদের একটা ধারণা দেয়া। তাছাড়া  সিম্ফনি ক্লাব অব মিশিগান বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ কাজ করে যাচ্ছে।”