আসন্ন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে মিশিগান প্রবাসী বাংলাদেশীরা সভা সমাবেশ ও প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো জয় পরাজয় নির্ধারণ করবে বলে ইতিমধ্যেই সংবাদ শিরোনাম হয়েছে, ৭টি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে মিশিগান অন্যতম। মিশিগানের ভোটাররা এবার নির্বাচনে যে বিষয়গুলির উপর বেশী গুরুত্ত্ব দিচ্ছেন সেগুলো হচ্ছে, অর্থনীতি, অভিবাসন, গণতন্ত্রের হুমকি, স্বাস্থ্য, হাউজিং, শিক্ষা, অপরাধ, গর্ভপাত বিষয়ক আইন, এছাড়াও মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিও মিশিগানবাসীরা গুরুত্ত্ব দিয়ে দেখছেন। গত ১৩ অক্টোবর ওয়ারেন সিটির একটি রেষ্টুরেন্টে বাংলাদেশী আমেরিকান কমুউনিটি কমলা হ্যারিস ও টিম ওয়ালজের পক্ষে এক নির্বাচনী সভার আয়োজন করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন ওয়ারেন সিটির মেয়র লরি ষ্টোন, হ্যামট্রাম্যাক সিটির সাবেক মেয়র ক্যারন ম্যাজস্কি, স্থানীয় নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলীয় বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। উপস্থিত ছিলেন হ্যামট্রাম্যাক সিটির কাউন্সিলম্যান মুহিত মাহমুদ, কাউন্সিলম্যান কামরুল হাসানসহ মিশিগানের বিভিন্ন সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ। বক্তারা ডেমোক্রেটিক দলীয় প্রার্থীদের ভোট দেয়ার আহবান জানান।
গত ৬ অক্টোবর রোববার ওয়ারেন সিটির একটি রেষ্টুরেন্টে মিশিগান বাংলাদেশী আমেরিকান ডেমোক্রেটিক ককাসের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সাদেকুর রহমান সুমন। সভায় বক্তারা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে এবং স্টেট পর্যায়ের ডেমোক্রেট প্রার্থীদের ভোট দেয়া এবং প্রার্থীদের পক্ষে মাঠ পর্যায়ে সভা সমাবেশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার চালানোর বিভিন্ন কর্মসূচী গৃহিত হয়।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্পকে ভোট দেয়ার জন্য আহবান জানিয়েছেন মিশিগান প্রবাসী বাংলাদেশি ট্রাম্পের ভক্তরা। তারা ইতিমধ্যেই হ্যামট্রাম্যাক শহরের কনান্ট অ্যাভিনিউয়ে ট্রাম্পের পক্ষে একটি সভা করেছেন এবং আজ শনিবার বিকেল ৬টায় হ্যামট্রাম্যাক শহরের জোসেফ ক্যাম্পু অ্যাভিনিউয়ে মিশিগান বাংলাদেশি আমেরিকান কমুউনিটির উদ্যোগে এক সভার আহবান করা হয়েছে, উক্ত সভায় সবাইকে উপস্থিত থাকার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে আহবান জানানো হয়েছে।
বাঙালির কাছে অন্যান্য পার্বনের মতো ভোটও একটি পার্বন। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে মিশিগান প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে একটা উৎসবের আমেজ দেখা যাচ্ছে। দোকানপাট, গ্রোসারী, কর্মক্ষেত্র, বিভিন্ন পার্টিতে ভোটের কথা আলোচনা হচ্ছে।