০৫:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
নির্বাচন ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২৪ জয় পরাজয় নির্ধারণে অন্যতম রাজ্য মিশিগান

২০২৪ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের  প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো জয় পরাজয় নির্ধারণ করবে বলে ইতিমধ্যেই সংবাদ শিরোনাম হয়েছে, ৭টি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে মিশিগান অন্যতম। মিশিগানের ১৫টি ইলেকটরল কলেজ ভোট রয়েছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিগত ১২টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্যে ৯টিতে যে দল মিশিগানে জয়লাভ করেছে তারাই হোয়াইট হাউস দখল করেছে। তাই দুই দলই কোমড় বেধে লড়ছে মিশিগানে জিততে। সাধারণ ভোটারদের একটা ধারণা মিশিগানে যে জিতবে সেই হবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। মিশিগানের ভোটাররা এবার নির্বাচনে যে বিষয়গুলির উপর বেশী গুরুত্ত্ব দিচ্ছেন সেগুলো হচ্ছে, অর্থনীতি, অভিবাসন, গণতন্ত্রের হুমকি, স্বাস্থ্য, হাউজিং, শিক্ষা, অপরাধ, গর্ভপাত বিষয়ক আইন, এছাড়াও মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিও মিশিগানবাসীরা গুরুত্ত্ব দিয়ে দেখছেন। ।২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মিশিগানে ট্রাম্প ১১ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন। অন্যদিকে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ১ লাখ ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে বাইডেন জিতেছিলেন তবে এবারের নির্বাচনে ফলাফলে ভিন্নতা আসতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। জনমত জরিপে ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের জনপ্রিয়তা মিশিগানে খুব কাছাকাছি যা যে কোন সময় যে কারোরই পক্ষে বা বিপক্ষে যেতে পারে। গত ফেব্রুয়ারীতে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক নির্বাচনে ১ লাখেরও বেশী ভোটার কাউকে ভোট দেননি তারা অনিশ্চিত (Uncommitted)  বিকল্পটি বেছে নিয়েছিলেন। অনুমান করা হচ্ছে ডেমোক্রেট তথা বাইডেনের ইসরায়েল নীতি অর্থাৎ গাজায় যুদ্ধ নিয়ে ভোটাররা এই অবস্থান নিয়েছেন। মিশিগানে আরব আমেরিকানরদের ভোট প্রেসিডেন্ট ইলেকশানে একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। এদিকে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ইসরায়েলকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে আহবান জানিয়েছেন।ট্রাম্পের এই বক্তব্যে মিশিগানে আরব আমেরিকানরদের মধ্যে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন বেড়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া মিশিগান প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও ডেমোক্রেটদের ইসরায়েল নীতি, ইমিগ্রেশানসহ বিভিন্ন বিষয়ে সমর্থন কমছে ও ট্রাম্পের প্রতি সহনাভূতি বেড়েছে বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প মিশিগানে জিতেছিলেন এবার এখানের ভোটারদের কাছে টানতে তিনি একাধিকবার মিশিগানে এসেছেন। এদিকে গত কয়েকদিন মিশিগান প্রবাসী বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণীর বাংলাদেশিদের সাথে আগামী নির্বাচন নিয়ে কথা বললে  তারা  নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেউ কেউ জানান, তারা আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে ভোট দিবেন। কারণ হিসাবে তারা উল্লেখ করেন গত টার্মে যখন ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন সারা বিশ্বে কোন যুদ্ধ ছিল না, যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর ভূমিকা নিয়েছেন। সে সময় দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল ভাল, কাজকর্মের সংস্থান ছিল, বর্ডার সিকুউয়র্ড ছিল, অবৈধ অভিবাসী আগমন সর্ব নিম্ন পর্যায়ে ছিল, দেশের বেকারের সংখ্যা ন্যূনতম ছিল। সাংবাদিক মাহমুদুল হক লিটু বলেন, “এবার ভোট আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দিবো, কারণ আমি মাহমুদুল হক লিটু মনে করি ট্রাম্প সত্যবাদী, ও যা করবে সরাসরি বলবে, বতর্মান সরকারের মতো সামনে বলবে একটা আর ভিতরে করবে আরেকটা এ রকম নয়। আমরা সাধারণ মানুষ রাজনীতি বুঝি না, ট্রাম্প আসলে দ্রব্য মুল্য, কর্মসংস্থান, শেয়ার বাজার সহ অর্থনীতি ভালো থাকে যা বিগত সময় ছিল, পাশাপাশি আমি বা আমাদের কমিউনিটি সুরক্ষিত থাকবে।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, তিনি কমলা হ্যারিসকে ভোট দিবেন, কারণ তিনি ডেমোক্রেট দলকে ভালবাসেন, সব সময় এই দলের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে আসছেন সেটা স্থানীয় বা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যেটাই হোন না কেন, তার বিশ্বাস আমরিকার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হবেন কমলা হ্যারিস, তার নের্তৃত্বে আমরা এক নতুন আমেরিকা দেখতে পাবো।”  একজন নারী ব্যবসায়ী বলেন, “আমি ট্রাম্পকে ভোট দেব। আমি মনে করি তিনি আমেরিকান অর্থনীতির জন্য ভালো। তিনি নিজেকে একবার প্রমাণ করেছেন। প্রত্যেক মানুষের ভালো দিক আছে এবং খারাপ দিকও আছে কিন্তু আমি মনে করি তিনি সবসময় আমেরিকানদের জন্য আগে চিন্তা করে। আপনি যদি আপনার দেশকে শক্তিশালী  করতে না পারেন তাহলে আপনি কিভাবে অন্যদের সাহায্য করবেন?” একজন পেশাজীবি বলেন, “ডেমোক্রেটরা সব সময়ই অভিবাসীদের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক তাছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও কল্যাণমূখী কাজে অবদান রাখে তাই আমি কমলা হ্যারিসকে ভোট দিবো।”  কমুউনিটি নেতা ও বিশিষ্ট রিয়েল ইষ্টেট ব্যবসায়ী বিজিত ধর মনি বলেন, “আমি ট্রাম্পকে ভোট দিবো কারণ তার শাসনামলে  কোন যুদ্ধ ছিল না, যুদ্ধে বড় বড় অস্ত্র ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হয়, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়, জীবন যাপন ব্যয় বৃদ্ধি পায়।” কবি ও গীতিকার ইশতিয়াক আহমেদ রুপু বলেন, “আগামী নির্বাচনে ট্রাম্পকে ভোট দেয়া উচিত, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট মানে বিশ্বের প্রেসিডেন্ট, কমলাকে মনে হচ্ছে তিনি এখনো সেই গুরু দায়িত্ব নেয়ার জন্য প্রস্তুত নয়।।” এছাড়া কেউ কেউ বলেছেন এখনো তারা কাকে ভোট দিবেন ঠিক করেননি। এদিকে মিশিগানের হ্যামট্রাম্যাক শহরের মেয়র আমির গালিব আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি ফেসবুক ও এক্সে জানিয়েছেন, “ট্রাম্প একজন নীতিবান মানুষ, তার বিভিন্ন নীতি, পছন্দগুলি আমি সঠিক মনে করি যার জন্য আমি তাকে সমর্থন করছি আশা করি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হবেন।” উল্লেখ্য আমির গালিব একজন নির্বাচিত মেয়র, তার প্রচুর অনুসারী রয়েছেন। তিনি ট্রাম্পকে সমর্থন করায় তার অনেক অনুসারীরা তাকে অনুসরণ করবে বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

Tag :
About Author Information

নির্বাচন ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২৪ জয় পরাজয় নির্ধারণে অন্যতম রাজ্য মিশিগান

আপডেট টাইম : ১০:১৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

২০২৪ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের  প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো জয় পরাজয় নির্ধারণ করবে বলে ইতিমধ্যেই সংবাদ শিরোনাম হয়েছে, ৭টি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে মিশিগান অন্যতম। মিশিগানের ১৫টি ইলেকটরল কলেজ ভোট রয়েছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিগত ১২টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্যে ৯টিতে যে দল মিশিগানে জয়লাভ করেছে তারাই হোয়াইট হাউস দখল করেছে। তাই দুই দলই কোমড় বেধে লড়ছে মিশিগানে জিততে। সাধারণ ভোটারদের একটা ধারণা মিশিগানে যে জিতবে সেই হবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। মিশিগানের ভোটাররা এবার নির্বাচনে যে বিষয়গুলির উপর বেশী গুরুত্ত্ব দিচ্ছেন সেগুলো হচ্ছে, অর্থনীতি, অভিবাসন, গণতন্ত্রের হুমকি, স্বাস্থ্য, হাউজিং, শিক্ষা, অপরাধ, গর্ভপাত বিষয়ক আইন, এছাড়াও মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিও মিশিগানবাসীরা গুরুত্ত্ব দিয়ে দেখছেন। ।২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মিশিগানে ট্রাম্প ১১ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন। অন্যদিকে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ১ লাখ ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে বাইডেন জিতেছিলেন তবে এবারের নির্বাচনে ফলাফলে ভিন্নতা আসতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। জনমত জরিপে ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের জনপ্রিয়তা মিশিগানে খুব কাছাকাছি যা যে কোন সময় যে কারোরই পক্ষে বা বিপক্ষে যেতে পারে। গত ফেব্রুয়ারীতে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক নির্বাচনে ১ লাখেরও বেশী ভোটার কাউকে ভোট দেননি তারা অনিশ্চিত (Uncommitted)  বিকল্পটি বেছে নিয়েছিলেন। অনুমান করা হচ্ছে ডেমোক্রেট তথা বাইডেনের ইসরায়েল নীতি অর্থাৎ গাজায় যুদ্ধ নিয়ে ভোটাররা এই অবস্থান নিয়েছেন। মিশিগানে আরব আমেরিকানরদের ভোট প্রেসিডেন্ট ইলেকশানে একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। এদিকে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ইসরায়েলকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে আহবান জানিয়েছেন।ট্রাম্পের এই বক্তব্যে মিশিগানে আরব আমেরিকানরদের মধ্যে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন বেড়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া মিশিগান প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও ডেমোক্রেটদের ইসরায়েল নীতি, ইমিগ্রেশানসহ বিভিন্ন বিষয়ে সমর্থন কমছে ও ট্রাম্পের প্রতি সহনাভূতি বেড়েছে বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প মিশিগানে জিতেছিলেন এবার এখানের ভোটারদের কাছে টানতে তিনি একাধিকবার মিশিগানে এসেছেন। এদিকে গত কয়েকদিন মিশিগান প্রবাসী বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণীর বাংলাদেশিদের সাথে আগামী নির্বাচন নিয়ে কথা বললে  তারা  নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেউ কেউ জানান, তারা আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে ভোট দিবেন। কারণ হিসাবে তারা উল্লেখ করেন গত টার্মে যখন ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন সারা বিশ্বে কোন যুদ্ধ ছিল না, যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর ভূমিকা নিয়েছেন। সে সময় দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল ভাল, কাজকর্মের সংস্থান ছিল, বর্ডার সিকুউয়র্ড ছিল, অবৈধ অভিবাসী আগমন সর্ব নিম্ন পর্যায়ে ছিল, দেশের বেকারের সংখ্যা ন্যূনতম ছিল। সাংবাদিক মাহমুদুল হক লিটু বলেন, “এবার ভোট আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দিবো, কারণ আমি মাহমুদুল হক লিটু মনে করি ট্রাম্প সত্যবাদী, ও যা করবে সরাসরি বলবে, বতর্মান সরকারের মতো সামনে বলবে একটা আর ভিতরে করবে আরেকটা এ রকম নয়। আমরা সাধারণ মানুষ রাজনীতি বুঝি না, ট্রাম্প আসলে দ্রব্য মুল্য, কর্মসংস্থান, শেয়ার বাজার সহ অর্থনীতি ভালো থাকে যা বিগত সময় ছিল, পাশাপাশি আমি বা আমাদের কমিউনিটি সুরক্ষিত থাকবে।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, তিনি কমলা হ্যারিসকে ভোট দিবেন, কারণ তিনি ডেমোক্রেট দলকে ভালবাসেন, সব সময় এই দলের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে আসছেন সেটা স্থানীয় বা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যেটাই হোন না কেন, তার বিশ্বাস আমরিকার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হবেন কমলা হ্যারিস, তার নের্তৃত্বে আমরা এক নতুন আমেরিকা দেখতে পাবো।”  একজন নারী ব্যবসায়ী বলেন, “আমি ট্রাম্পকে ভোট দেব। আমি মনে করি তিনি আমেরিকান অর্থনীতির জন্য ভালো। তিনি নিজেকে একবার প্রমাণ করেছেন। প্রত্যেক মানুষের ভালো দিক আছে এবং খারাপ দিকও আছে কিন্তু আমি মনে করি তিনি সবসময় আমেরিকানদের জন্য আগে চিন্তা করে। আপনি যদি আপনার দেশকে শক্তিশালী  করতে না পারেন তাহলে আপনি কিভাবে অন্যদের সাহায্য করবেন?” একজন পেশাজীবি বলেন, “ডেমোক্রেটরা সব সময়ই অভিবাসীদের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক তাছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও কল্যাণমূখী কাজে অবদান রাখে তাই আমি কমলা হ্যারিসকে ভোট দিবো।”  কমুউনিটি নেতা ও বিশিষ্ট রিয়েল ইষ্টেট ব্যবসায়ী বিজিত ধর মনি বলেন, “আমি ট্রাম্পকে ভোট দিবো কারণ তার শাসনামলে  কোন যুদ্ধ ছিল না, যুদ্ধে বড় বড় অস্ত্র ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হয়, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়, জীবন যাপন ব্যয় বৃদ্ধি পায়।” কবি ও গীতিকার ইশতিয়াক আহমেদ রুপু বলেন, “আগামী নির্বাচনে ট্রাম্পকে ভোট দেয়া উচিত, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট মানে বিশ্বের প্রেসিডেন্ট, কমলাকে মনে হচ্ছে তিনি এখনো সেই গুরু দায়িত্ব নেয়ার জন্য প্রস্তুত নয়।।” এছাড়া কেউ কেউ বলেছেন এখনো তারা কাকে ভোট দিবেন ঠিক করেননি। এদিকে মিশিগানের হ্যামট্রাম্যাক শহরের মেয়র আমির গালিব আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি ফেসবুক ও এক্সে জানিয়েছেন, “ট্রাম্প একজন নীতিবান মানুষ, তার বিভিন্ন নীতি, পছন্দগুলি আমি সঠিক মনে করি যার জন্য আমি তাকে সমর্থন করছি আশা করি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হবেন।” উল্লেখ্য আমির গালিব একজন নির্বাচিত মেয়র, তার প্রচুর অনুসারী রয়েছেন। তিনি ট্রাম্পকে সমর্থন করায় তার অনেক অনুসারীরা তাকে অনুসরণ করবে বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।