০২:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য

মিশিগানে পিঠা উৎসব

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের বিভিন্নস্থানে পিঠা উৎসব ও মকর সংক্রান্তি উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন, মন্দির ও প্রতিষ্ঠানে পূজা, কীর্তন, নগর পরিক্রমা, পিঠা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

দুর্গা টেম্পল : ডেট্রয়েট সিটির দুর্গা মন্দিরে গত ২৮ জানুয়ারী রোববার পিঠা উৎসব ও মকর সংক্রান্তি উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে মন্দিরে সারাদিন ব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে পূজা, গীতাপাঠ,  কীর্তন, নগর পরিক্রমা করা হয়। প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে বিপুল সংখ্যক  ভক্তবৃন্দরা পিঠা নিয়ে মন্দিরে আসেন।  বিশেষ করে নারীরা পিঠা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য মিশিগানের বিভিন্ন শহর ডেট্রয়েট, হ্যাট্রাম্যাক, ওয়ারেন, স্টার্লিং হাইটস, ট্রয়, মেডিসন হাইটস, শিলভী টাউনশিপ, রোচোষ্টার

দুর্গা মন্দিরে পিঠা উৎসব : ছবি : মিশিগান দর্পণ

হিলস, অ্যান আরবার থেকে মন্দিরে আসেন। মন্দিরের হলরুমে পিঠা প্রদর্শন ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ভক্তরা রকমারি স্বাদের, বিভিন্ন বর্ণের, বিভিন্ন ধরনের পিঠা নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। ৬০ এর অধিক প্রতিযোগিনী শতাধিক ট্রে নিয়ে বিভিন্ন রকমের পিঠা নিয়ে এতে অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত সবাই পিঠার স্বাদ নেন।

দুর্গা মন্দিরে পিঠা উৎসব : ছবি : মিশিগান দর্পণ

বিচারকেরা পিঠার স্বাদ, মানের উপর ভিত্তি করে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণ করেন। প্রথম পুরষ্কার পান লাভলী দাশ, দ্বিতীয় পুরষ্কার তৃষিতা দে ও তৃতীয় পুরষ্কার পান কেয়া চৌধুরী। পিঠার পরিমাণ ও সৌন্দর্যের (ট্রে ডেকোরেশান) উপর পুরষ্কার পান যথাক্রমে মিনতি চৌধুরী ও মিনাক্ষী ধর।

এছাড়াও পিঠা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকলকে একটি করে বিশেষ পুরষ্কার দেয়া হয়। পুরষ্কারগুলো স্পন্সর করেন যথাক্রমে প্রদীপ চৌধুরী, নিপেশ সুত্রধর, পার্থ দেব, উজ্জল সুত্রধর, মৃগাঙ্ক রায় ও দাশ এন্টারপ্রাইজ ।

দুর্গা মন্দিরের প্রেসিডেন্ট পংকজ দাশ ও মিডিয়া ও পাবলিকেশান ডাইরেক্টার বিশিষ্ট সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পার্থ সারথী দেব

দুর্গা মন্দিরের প্রেসিডেন্ট পংকজ দাশ জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর লোক সমাগম বেশী হয়েছে। আমরা এবার হলরুমে ভক্তদের জায়গা সংকুলান করতে পারিনি। শতাধিক পিঠার ট্রে নিয়ে মানুষজন বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছেন। দুর্গা টেম্পলের মিডিয়া ও পাবলিকেশান ডাইরেক্টার ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মিশিগান বাংলা প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি এবং বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পার্থ সারথী দেব সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জানান, মন্দিরটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এখানে পিঠা উৎসব হয়ে আসছে। দিন দিন এর ব্যাপকতা, পরিসর ও আকর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, দুর্গা মন্দির ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক অনুষ্টান করে বাংলা ও বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য তুলে ধরে নতুন প্রজন্মকে দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে।

দুর্গা মন্দিরে পিঠা উৎসব : ছবি : মিশিগান দর্পণ

শিব মন্দির : ওয়ারেন সিটির শিব মন্দিরে গত ২০ জানুয়ারী শনিবার পিঠা উৎসব ও মকর সংক্রান্তি উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে পূজা, কীর্তন ও পিঠা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মন্দিরের ভক্তরা অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতার পর অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।

 এছাড়াও ১৪ জানুয়ারী রোববার ওয়ারেন সিটির কালী মন্দিরেও মকর সংক্রান্তি ও পিঠা  উৎসব উদযাপিত হয়েছে।

তাছাড়াও সনাতনধর্মীরা নিজ নিজ বাড়ীতে এদিন পৌষ পার্বণ, পিঠাপুলি করে নিজে খান এবং অন্যকেও খাওয়ান। দেশের মতো প্রবাসেও এদিন বড় মাছ বিশেষ করে বড় চিতলমাছ খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে।

Tag :
About Author Information

সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য

মিশিগানে পিঠা উৎসব

আপডেট টাইম : ১২:২১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের বিভিন্নস্থানে পিঠা উৎসব ও মকর সংক্রান্তি উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন, মন্দির ও প্রতিষ্ঠানে পূজা, কীর্তন, নগর পরিক্রমা, পিঠা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

দুর্গা টেম্পল : ডেট্রয়েট সিটির দুর্গা মন্দিরে গত ২৮ জানুয়ারী রোববার পিঠা উৎসব ও মকর সংক্রান্তি উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে মন্দিরে সারাদিন ব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে পূজা, গীতাপাঠ,  কীর্তন, নগর পরিক্রমা করা হয়। প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে বিপুল সংখ্যক  ভক্তবৃন্দরা পিঠা নিয়ে মন্দিরে আসেন।  বিশেষ করে নারীরা পিঠা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য মিশিগানের বিভিন্ন শহর ডেট্রয়েট, হ্যাট্রাম্যাক, ওয়ারেন, স্টার্লিং হাইটস, ট্রয়, মেডিসন হাইটস, শিলভী টাউনশিপ, রোচোষ্টার

দুর্গা মন্দিরে পিঠা উৎসব : ছবি : মিশিগান দর্পণ

হিলস, অ্যান আরবার থেকে মন্দিরে আসেন। মন্দিরের হলরুমে পিঠা প্রদর্শন ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ভক্তরা রকমারি স্বাদের, বিভিন্ন বর্ণের, বিভিন্ন ধরনের পিঠা নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। ৬০ এর অধিক প্রতিযোগিনী শতাধিক ট্রে নিয়ে বিভিন্ন রকমের পিঠা নিয়ে এতে অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত সবাই পিঠার স্বাদ নেন।

দুর্গা মন্দিরে পিঠা উৎসব : ছবি : মিশিগান দর্পণ

বিচারকেরা পিঠার স্বাদ, মানের উপর ভিত্তি করে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণ করেন। প্রথম পুরষ্কার পান লাভলী দাশ, দ্বিতীয় পুরষ্কার তৃষিতা দে ও তৃতীয় পুরষ্কার পান কেয়া চৌধুরী। পিঠার পরিমাণ ও সৌন্দর্যের (ট্রে ডেকোরেশান) উপর পুরষ্কার পান যথাক্রমে মিনতি চৌধুরী ও মিনাক্ষী ধর।

এছাড়াও পিঠা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকলকে একটি করে বিশেষ পুরষ্কার দেয়া হয়। পুরষ্কারগুলো স্পন্সর করেন যথাক্রমে প্রদীপ চৌধুরী, নিপেশ সুত্রধর, পার্থ দেব, উজ্জল সুত্রধর, মৃগাঙ্ক রায় ও দাশ এন্টারপ্রাইজ ।

দুর্গা মন্দিরের প্রেসিডেন্ট পংকজ দাশ ও মিডিয়া ও পাবলিকেশান ডাইরেক্টার বিশিষ্ট সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পার্থ সারথী দেব

দুর্গা মন্দিরের প্রেসিডেন্ট পংকজ দাশ জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর লোক সমাগম বেশী হয়েছে। আমরা এবার হলরুমে ভক্তদের জায়গা সংকুলান করতে পারিনি। শতাধিক পিঠার ট্রে নিয়ে মানুষজন বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছেন। দুর্গা টেম্পলের মিডিয়া ও পাবলিকেশান ডাইরেক্টার ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মিশিগান বাংলা প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি এবং বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পার্থ সারথী দেব সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জানান, মন্দিরটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এখানে পিঠা উৎসব হয়ে আসছে। দিন দিন এর ব্যাপকতা, পরিসর ও আকর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, দুর্গা মন্দির ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক অনুষ্টান করে বাংলা ও বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য তুলে ধরে নতুন প্রজন্মকে দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে।

দুর্গা মন্দিরে পিঠা উৎসব : ছবি : মিশিগান দর্পণ

শিব মন্দির : ওয়ারেন সিটির শিব মন্দিরে গত ২০ জানুয়ারী শনিবার পিঠা উৎসব ও মকর সংক্রান্তি উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে পূজা, কীর্তন ও পিঠা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মন্দিরের ভক্তরা অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতার পর অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।

 এছাড়াও ১৪ জানুয়ারী রোববার ওয়ারেন সিটির কালী মন্দিরেও মকর সংক্রান্তি ও পিঠা  উৎসব উদযাপিত হয়েছে।

তাছাড়াও সনাতনধর্মীরা নিজ নিজ বাড়ীতে এদিন পৌষ পার্বণ, পিঠাপুলি করে নিজে খান এবং অন্যকেও খাওয়ান। দেশের মতো প্রবাসেও এদিন বড় মাছ বিশেষ করে বড় চিতলমাছ খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে।