০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
সংস্কৃতি

মৃধা বেঙ্গলি কালচারাল সেন্টারে’র উদ্বোধন

যুক্তরাষ্টের মিশিগান প্রবাসী বাংলাদেশী বংশোদ্ভোতদের দীর্ঘদিনের মনের আকাঙ্খা পূরণ হয়েছে গত ১১ জুন শনিবার। জানা গেছে, এদিন ওয়ারেন সিটির মেমফিস অ্যাভিনিউয়ে ‘মৃধা বেঙ্গলি কালচারাল সেন্টারে’র উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে শিশু কিশোরসহ সকলের জন্য বাংলা শিক্ষা, গানের স্কুল, নৃত্যসহ  বাঙ্গালি সংস্কৃতির বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালিত হবে। মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মৃধা বেঙ্গলি কালচারাল সেন্টারে’র প্রতিষ্ঠাতা ডা: দেবাশীষ মৃধা ও তার সহধর্মিনী চিনু মৃধা। ডা: দেবাশীষ মৃধা মিশিগানের একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক, তিনি বাঙ্গালির বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, খেলাধূলাসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে বা  অনুষ্টানে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন। তিনি ইতিমধ্যে একটি মন্দির, একটি কালচারাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছেন। মিশিগানে বাঙ্গালিদের ২১শের শহীদদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য কোন স্থায়ী শহীদ মিনার নেই। তার পরিকল্পনায় রয়েছে এখানে তিনি একটি শহীদ মিনার তৈরী করবেন যাতে বাঙ্গালিরা ২১শের শেষ প্রহরে ৫২’র শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পারেন।

ছবি : সংগৃহিত

১১জুন শনিবার চিনু মৃধার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়, আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন প্রধান অতিথি ডা: দেবাশীষ মৃধা, বিশেষ অতিথি ডা: সুলতানা গজনবী, নিউ‌ইয়র্ক থেকে আগত কবি, গীতিকার ও সাংবাদিক ইশতিয়াক আহমেদ রুপু, শারমীন তানিম প্রমূখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা: মৃধা বলেন, আমাদের আসল পরিচয় আমরা বাঙ্গালি। আমরা যেখানেই থাকি না কেন আমরা যেন আমাদের বাঙ্গালি পরিচয়, বাংলা সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্য তুলে ধরি। সভাপতির বক্তব্যে চিনু মৃধা সবাইকে অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আগামীতে এ ধরণের মেলা আয়োজন করার কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে দুপুরে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা অনুষ্টিত হয়। ছিল চিত্রাঙ্কান প্রতিযোগিতা, ম্যাথ অলিম্পিয়াড। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় দুটি গ্রুপ অংশ গ্রহণ করে, ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়।  ম্যাথ অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় দুটি গ্রুপে প্রতিযোগীরা অংশ গ্রহন করে এবং , ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়।  ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতায় তিনজনকে পুরষ্কার দেয়া হয়।

ছবি : সংগৃহিত

আমেরিকা ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সঙ্গীত পরিবেশন করেন আকরাম হোসেন, আজমল হোসেন, ডা: সুলতানা গজনভী, তপন প্রভু, শিমুল দত্ত, মারুফ সৌরভ, রুমকি সেনসহ আরো অনেকে।

এছাড়াও ছিল নৃত্যানুষ্ঠান। এতে অংশ গ্রহণ করেন চিনু মৃধা, অমিতা মৃধা, অন্তরা অন্তি, শারমিন তানিম, মৌমিতাসহ আরো অনেকে।

ছিল কবিতাপাঠ, ভায়োলিন পরিবেশনা।

‘মৃধা বেঙ্গলি কালচারাল সেন্টারে’র উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সেন্টারের বিশাল মাঠে বসেছিল মেলা। মেলায় ছিল রকমারি কাপড়ের স্টল। অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে রংবেরং এর শাড়ী, জুয়েলারি নিয়ে এসেছিলেন অনেকে। আবহাওয়া ভাল থাকায় প্রচুর লোক সমাগম হয়েছিলো, শিশু কিশোররা মাঠে খেলাধূলায় মেতেছিল।

মিশিগানে এমন একটি উদ্যোগ নেয়ার জন্য ডা: মৃধা দম্পতিকে সবাই ধন্যবাদ জানান। এ ব্যাপারে এ অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক থেকে আগত কবি, গীতিকার ও সাংবাদিক ইশতিয়াক আহমেদ রুপু এই প্রতিনিধিকে বলেন, প্রবাসের মাটিতে এমন একটি উদ্যোগ যে ডা: মৃধা নিয়েছেন তার জন্য তাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য এটি একটি মহৎ উদ্যোগ। বাংলা প্রেস ক্লাব মিশিগানের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ফেরদৌস বলেন, মিশিগানে বাংলা স্কুল, গানের স্কুলসহ বাংলা ভাষাকে এই প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়ার যে প্রক্রিয়া ডা: মৃধা শুরু করেছেন তার জন্য তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Tag :
About Author Information

সংস্কৃতি

মৃধা বেঙ্গলি কালচারাল সেন্টারে’র উদ্বোধন

আপডেট টাইম : ১০:০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুন ২০২২

যুক্তরাষ্টের মিশিগান প্রবাসী বাংলাদেশী বংশোদ্ভোতদের দীর্ঘদিনের মনের আকাঙ্খা পূরণ হয়েছে গত ১১ জুন শনিবার। জানা গেছে, এদিন ওয়ারেন সিটির মেমফিস অ্যাভিনিউয়ে ‘মৃধা বেঙ্গলি কালচারাল সেন্টারে’র উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে শিশু কিশোরসহ সকলের জন্য বাংলা শিক্ষা, গানের স্কুল, নৃত্যসহ  বাঙ্গালি সংস্কৃতির বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালিত হবে। মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মৃধা বেঙ্গলি কালচারাল সেন্টারে’র প্রতিষ্ঠাতা ডা: দেবাশীষ মৃধা ও তার সহধর্মিনী চিনু মৃধা। ডা: দেবাশীষ মৃধা মিশিগানের একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক, তিনি বাঙ্গালির বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, খেলাধূলাসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে বা  অনুষ্টানে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন। তিনি ইতিমধ্যে একটি মন্দির, একটি কালচারাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছেন। মিশিগানে বাঙ্গালিদের ২১শের শহীদদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য কোন স্থায়ী শহীদ মিনার নেই। তার পরিকল্পনায় রয়েছে এখানে তিনি একটি শহীদ মিনার তৈরী করবেন যাতে বাঙ্গালিরা ২১শের শেষ প্রহরে ৫২’র শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পারেন।

ছবি : সংগৃহিত

১১জুন শনিবার চিনু মৃধার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়, আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন প্রধান অতিথি ডা: দেবাশীষ মৃধা, বিশেষ অতিথি ডা: সুলতানা গজনবী, নিউ‌ইয়র্ক থেকে আগত কবি, গীতিকার ও সাংবাদিক ইশতিয়াক আহমেদ রুপু, শারমীন তানিম প্রমূখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা: মৃধা বলেন, আমাদের আসল পরিচয় আমরা বাঙ্গালি। আমরা যেখানেই থাকি না কেন আমরা যেন আমাদের বাঙ্গালি পরিচয়, বাংলা সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্য তুলে ধরি। সভাপতির বক্তব্যে চিনু মৃধা সবাইকে অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আগামীতে এ ধরণের মেলা আয়োজন করার কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে দুপুরে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা অনুষ্টিত হয়। ছিল চিত্রাঙ্কান প্রতিযোগিতা, ম্যাথ অলিম্পিয়াড। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় দুটি গ্রুপ অংশ গ্রহণ করে, ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়।  ম্যাথ অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় দুটি গ্রুপে প্রতিযোগীরা অংশ গ্রহন করে এবং , ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়।  ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতায় তিনজনকে পুরষ্কার দেয়া হয়।

ছবি : সংগৃহিত

আমেরিকা ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সঙ্গীত পরিবেশন করেন আকরাম হোসেন, আজমল হোসেন, ডা: সুলতানা গজনভী, তপন প্রভু, শিমুল দত্ত, মারুফ সৌরভ, রুমকি সেনসহ আরো অনেকে।

এছাড়াও ছিল নৃত্যানুষ্ঠান। এতে অংশ গ্রহণ করেন চিনু মৃধা, অমিতা মৃধা, অন্তরা অন্তি, শারমিন তানিম, মৌমিতাসহ আরো অনেকে।

ছিল কবিতাপাঠ, ভায়োলিন পরিবেশনা।

‘মৃধা বেঙ্গলি কালচারাল সেন্টারে’র উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সেন্টারের বিশাল মাঠে বসেছিল মেলা। মেলায় ছিল রকমারি কাপড়ের স্টল। অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে রংবেরং এর শাড়ী, জুয়েলারি নিয়ে এসেছিলেন অনেকে। আবহাওয়া ভাল থাকায় প্রচুর লোক সমাগম হয়েছিলো, শিশু কিশোররা মাঠে খেলাধূলায় মেতেছিল।

মিশিগানে এমন একটি উদ্যোগ নেয়ার জন্য ডা: মৃধা দম্পতিকে সবাই ধন্যবাদ জানান। এ ব্যাপারে এ অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক থেকে আগত কবি, গীতিকার ও সাংবাদিক ইশতিয়াক আহমেদ রুপু এই প্রতিনিধিকে বলেন, প্রবাসের মাটিতে এমন একটি উদ্যোগ যে ডা: মৃধা নিয়েছেন তার জন্য তাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য এটি একটি মহৎ উদ্যোগ। বাংলা প্রেস ক্লাব মিশিগানের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ফেরদৌস বলেন, মিশিগানে বাংলা স্কুল, গানের স্কুলসহ বাংলা ভাষাকে এই প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়ার যে প্রক্রিয়া ডা: মৃধা শুরু করেছেন তার জন্য তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।