যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের হ্যামট্রাম্যাক সিটিতে গত ২৯, ৩০ ও ৩১শে জুলাই (শুক্র, শনি ও রবিবার) অনুষ্টিত হয় পথমেলা। জানা গেছে, হ্যামট্রাম্যাক ডাইভার্সিটি ফ্যাষ্টিভালের আয়োজনে হ্যামট্রাম্যাক সিটির বাংলাদেশ অ্যাভিনিউয়ে (কনান্ট অ্যাভিনিউ) তিন দিন ব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এবার ছিল মেলার ২১তম বর্ষপূর্তি। করোনার কারণে গত দুই বছর মানুষ ঘর থেকে বের হতে
পারেনি তাই মেলায় প্রবাসী বাঙ্গালির ঢল নেমেছিল। পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন, ছেলে মেয়ে, মা বাবাকে নিয়ে অনেকে এসেছেন মেলা দেখতে। ছন্দে বাধা প্রবাস জীবনের নগর ব্যস্ততায় মেলার দিনগুলি হয়ে উঠেছিল আনন্দমূখর, মূলত সবার সঙ্গে মিলিত
হওয়ার, আড্ডা দেবার এক সুবর্ণ সুযোগ। পথমেলা পরিণত হয়েছিল মিলন মেলায়।আয়োজকরা জানান, বাংলা, বাঙ্গালি সংস্কৃতি,
কৃষ্টি,ঐতিহ্য, নতুন প্রজন্মকে জানানো ও তাদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য এ মেলা। মেলায় ছিল প্রায় অর্ধশত রকমারি দোকানপাট। সেসব দোকানে ছিল বাংলাদেশী পণ্যের বাহার। শাড়ী, গহনা, খেলনা,খাবারের দোকান। চাকরি প্রত্যাশী লোকজনদেরে চাকরি দেবার
জন্য বিভিন্ন এজেন্সী মেলায় এগিয়ে এসেছে। তারা লোকজনকে বিভিন্ন কোম্পানীতে চাকরির সুযোগ করে দিয়েছেন। রোববার সন্ধ্যায় মেলায় গিয়ে দেখা গেছে মানুষের ঢল। মিশিগানের বৃহত্তর ডেট্রয়েটের হ্যামট্রাম্যাক, ডেট্রয়েট, ট্রয়, ওয়ারেন, ষ্টার্লিংহাইটস, মেডিসন
হাইটস, রয়েল অক, অ্যান আরবার, লেন্সিং, ক্যান্টন, পন্টিয়াক শহরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে প্রবাসী বাঙ্গালিরা মেলায় আসেন। মেলা কার্যত পরিণত হয় উৎসবে। প্রবাসে মেলা এখন বাঙ্গালির এক বিশেষ পার্বণ। মেলায় ছিল আকর্ষণীয় রাফেল ড্র। রাফেল ড্র’র প্রথম
পুরষ্কার ছিল ক্যাডিলাক এসকেলেইড গাড়ী, এছাড়াও ছিল আকর্ষণীয় পুরষ্কার। মেলায় স্থানীয় শিল্পীরা অংশ গ্রহন করেন। জনপ্রিয় বাউল শিল্পী কালা মিয়ার সঙ্গীতে মুগ্ধ হন মিশিগান প্রবাসী বাঙ্গালিরা, এছাড়াও সঙ্গীত পরিবেশন করেন অতিথি শিল্পী লাবনী
আক্তারসহ জনপ্রিয় শিল্পীরা। আয়োজকদের পক্ষ থেকে নাজেল হুদা মেলায় অংশ গ্রহণের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।