মিশিগানে ঈদের বাজার জমে উঠেছে। গত দুই বছর করোনার কারণে মানুষ ঈদের বাজারে বের হতে পারেননি তবে এবার বিধি নিষেধ না থাকায় ছেলে, মেয়েসহ নিজের কাপড়চোপড় কেনাকাটায় দোকানে দোকানে গিয়ে পছন্দের জিনিষটি কিনে নিচ্ছেন। দুই বছর ঈদে একে অপরের সাথে বা পারিবারিকভাবে মিলনের সুযোগ না থাকায় এবার যেন সবার মধ্যে একটা বাড়তি আগ্রহ, আনন্দ, স্বতস্ফূর্ততা দেখা দিয়েছে। ঈদ উপলক্ষ্যে দোকানগুলো সেজেছে নতুন সাজে। মিশিগানের হ্যামট্রাম্যাক, ডেট্রয়েট, ওয়ারেনসহ বিভিন্ন শহরে বাংলাদেশী মালিকানাধীন কাপড়ের দোকানগুলোয় কেনাকাটা জমে উঠেছে। দোকানগুলোতে বিভিন্ন ধরণের নতুন ডিজাইনের ভিন্ন ভিন্ন দামের জামা কাপড়, শাড়ী লেহেঙ্গা পাঞ্জাবী উঠেছে। ক্রেতাদের সুবিধার্থে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন দোকান খোলা থাকে। এ ঈদকে সামনে রেখে মিশিগানে একাধিক অভিজাত কাপড়ের দোকানের উদ্ভোধন হয়েছে।
ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে কোন কোন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরণের ডিসকাউন্ট দেয়া হচ্ছে। দেশে টাকা পাঠানোর প্রতিষ্ঠানগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের আত্মীয়স্বজনের ঈদ করার জন্য মানুষজন টাকা পাঠাচ্ছেন। এদিকে মিশিগানের অনেক নারী উদ্যোক্তা অন লাইনে কাপড়ের ব্যবসা করছেন এবং তাদেরও কেনাকাটা ভালই হচ্ছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে নারীদের এই কাপড়ের ব্যবসা নিয়ে একাধিক ঈদ মেলা হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে অনেকেই ২/৩ দিনের ছুটি নিয়ে রেখেছেন যাতে ঈদে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের সাথে আনন্দ করা যায়, ঘুরে বেড়ানো যায়। ঈদ উপলক্ষে সকল প্রস্তুতিই প্রায় সম্পন্ন। ঈদের দিনের খাওয়া দাওয়ার জন্য মানুষজন গ্রোসারি দোকানগুলোতে কেনাকাটা করছেন। গ্রোসারিগুলোও মানুষজনের সুবিধার্থে রাত ১২টা ১টা অবধি খোলা থাকছে। মানুষজন কাজ থেকে বাড়ী ফেরার পথে বাজার করে বাড়ী ফিরছেন। এদিকে প্রতিদিন বিকেলে বাঙ্গালি মালিকানাধীন রেষ্টুরেন্টগুলোতে প্রচুর ভীড় পরিলক্ষিত হয় ইফতারী কেনার জন্য। কেউ কিনে বাড়ী নিয়ে যাচ্ছেন কেউবা রেষ্টুরেন্টে বসে ইফতারী সারছেন। রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে একটা দেশীয় আবেশ, আমেজ সবাই উপলব্দি ও উপভোগ করছেন। ইতিমধ্যে কোন কোন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের ঈদ পুনর্মিলনীর ভ্যানু ঠিক করার চিন্তা ভাবনা করছেন।