০৫:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
সংস্কৃতি

মিশিগানের লেবার ডে ফ্যাষ্টিভালে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশ গ্রহণ

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের হ্যামট্রাম্যাক সিটিতে প্রতিবারের মতো এবারো তিন দিনব্যাপী (৩১ আগষ্ট, ১ ও ২ সেপ্টেম্বর) লেবার ডে ফ্যাষ্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানা গেছে এবার মেলার ৪৪তম বর্ষ উদযাপন করা হয়েছে। মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে শহরের জোসেফ ক্যাম্পু সড়কে। তিন দিনের এ মেলাতে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ গ্রহণ করেন, রাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে এ ঐতিহ্যবাহী এ মেলা দেখতে লোকজন এসেছিলেন। শিশু থেকে সিনিয়র সিটেজেন সব মানুষের জন্য ছিল বিনোদনের ব্যবস্থা। মেলায় ছিল কেনাকাটার জন্য রকমারী স্টল, গান, বাজনাসহ খাবারের দোকান। ছিল কার্নিভ্যাল রাইড, রেষ্টলিং প্রতিযোগিতা। ২ সেপ্টেম্বর ছিল মেলার শেষ দিন এবং আকর্ষণীয় প্যারেড। এতে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নেচে, গেয়ে অংশ গ্রহণ করেন। প্যারেডটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। রাস্তার দুই পাশে দাড়িয়ে থাকা মানুষজন তাদেরে হাত নাড়িয়ে অভিনন্দন জানান। এ বছর প্রবাসী বাংলাদেশীদের একাধিক সংগঠন এতে অংশ গ্রহণ করে। তারা বাংলাদেশের পতাকা, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পোষাক পরে বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র ঢোল, করতাল, হারমোনিয়াম  বাজিয়ে গান  করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

জানা যায় ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম এই ফ্যাষ্টিভ্যাল শুরু হয়। তখন হ্যামট্রাম্যাক শহরের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল খুবই নাজুক। হ্যামট্রাম্যাকে অবস্থিত ডাজ মোটর ফ্যাক্টরীর প্রধান কারখানাটি ৭০ বছর চলার পর হঠাৎ করে এ সময় বন্ধ করে দেয়া হয় এতে প্রায় ১০ হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে যায় এবং মিলিয়ন ডলার রাজস্ব হারায়। সেই সময়ের হ্যামট্রাম্যাক সিটির মেয়র রবার্ট কজারেন  কয়েকজন উদ্যোগী মানুষকে নিয়ে এ ফ্যাষ্টিভ্যাল শুরু করেন। সে মেলায় ১০ হাজার মানুষ অংশ গ্রহণ করেছিল বলে ইতিহাসবিদ গ্রেগ কাওয়ালস্কি’র এক প্রবন্ধ থেকে জানা যায়।

Tag :
About Author Information

সংস্কৃতি

মিশিগানের লেবার ডে ফ্যাষ্টিভালে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশ গ্রহণ

আপডেট টাইম : ০৮:০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের হ্যামট্রাম্যাক সিটিতে প্রতিবারের মতো এবারো তিন দিনব্যাপী (৩১ আগষ্ট, ১ ও ২ সেপ্টেম্বর) লেবার ডে ফ্যাষ্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানা গেছে এবার মেলার ৪৪তম বর্ষ উদযাপন করা হয়েছে। মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে শহরের জোসেফ ক্যাম্পু সড়কে। তিন দিনের এ মেলাতে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ গ্রহণ করেন, রাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে এ ঐতিহ্যবাহী এ মেলা দেখতে লোকজন এসেছিলেন। শিশু থেকে সিনিয়র সিটেজেন সব মানুষের জন্য ছিল বিনোদনের ব্যবস্থা। মেলায় ছিল কেনাকাটার জন্য রকমারী স্টল, গান, বাজনাসহ খাবারের দোকান। ছিল কার্নিভ্যাল রাইড, রেষ্টলিং প্রতিযোগিতা। ২ সেপ্টেম্বর ছিল মেলার শেষ দিন এবং আকর্ষণীয় প্যারেড। এতে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নেচে, গেয়ে অংশ গ্রহণ করেন। প্যারেডটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। রাস্তার দুই পাশে দাড়িয়ে থাকা মানুষজন তাদেরে হাত নাড়িয়ে অভিনন্দন জানান। এ বছর প্রবাসী বাংলাদেশীদের একাধিক সংগঠন এতে অংশ গ্রহণ করে। তারা বাংলাদেশের পতাকা, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পোষাক পরে বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র ঢোল, করতাল, হারমোনিয়াম  বাজিয়ে গান  করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

জানা যায় ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম এই ফ্যাষ্টিভ্যাল শুরু হয়। তখন হ্যামট্রাম্যাক শহরের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল খুবই নাজুক। হ্যামট্রাম্যাকে অবস্থিত ডাজ মোটর ফ্যাক্টরীর প্রধান কারখানাটি ৭০ বছর চলার পর হঠাৎ করে এ সময় বন্ধ করে দেয়া হয় এতে প্রায় ১০ হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে যায় এবং মিলিয়ন ডলার রাজস্ব হারায়। সেই সময়ের হ্যামট্রাম্যাক সিটির মেয়র রবার্ট কজারেন  কয়েকজন উদ্যোগী মানুষকে নিয়ে এ ফ্যাষ্টিভ্যাল শুরু করেন। সে মেলায় ১০ হাজার মানুষ অংশ গ্রহণ করেছিল বলে ইতিহাসবিদ গ্রেগ কাওয়ালস্কি’র এক প্রবন্ধ থেকে জানা যায়।