আজ মহান বিজয় দিবস। বিজয়ের ৫১তম বার্ষিকী আজ। ১৯৭১ সালের এইদিনে বীর বাঙ্গালি পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলো। বিশ্বের মানচিত্রে স্থান পেয়েছিলো লাল সবুজ পতাকা। আজ তাদের স্মরণ করার দিন যারা জীবন বাজী রেখে আমাদের জন্য বিজয় এনে দিয়েছিলো। আমরা আজ যে যেখানে দাড়িয়ে আছি সবটুকু তাদের জন্য। তাদের
আত্মত্যাগ আমরা কখনো ভূলবো না। গত ৫১ বছরে আমরা হয়তো অনেক কিছুই অর্জন করেছি, উন্নয়ন হয়েছে, হয়েছে নারীর ক্ষমতায়ন, কিন্তু যে আশা, আক্ঙ্খা নিয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা, কৃষক, মজুর, কারখানার শ্রমিক,খেটে খাওয়া মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো তা কি অর্জিত হয়েছে। না। অর্থনৈতিক মুক্তি, আজো সদূর পরাহত। অর্থনৈতিক বৈষম্য দিনদিন বেড়েছে। লুটেরা
ধনীক শ্রেনীর সংখ্যা ২২ পরিবার থেকে এখন হাজার পরিবারে উন্নীত হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। আটশত টাকা ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় কৃষককে ধরে নেয়ার খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হয় অথচ হাজার কোটী টাকা মেরে দেয়া বা ব্যাংক থেকে লুটে নেয়া টাকা বিদেশে পাচারকারীদের বা শতশত কোটী টাকা ঋণ খেলাপীদের কিছুই হয় না। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ যে
চার নীতি ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের মূল ভিত্তি তার ধারেকাছেও নেই আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ।দেশ স্বাধীনতা লাভের পর আমরা আমাদের নীতি, আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছি বিশেষ করে ৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর পুরো উল্টো পথে যাত্রা করেছি। সেই যাত্রা পথ থেকে আজো আমরা আমাদের মূল রাস্তায় উঠতে পারিনি। ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের ও ৩০ লক্ষ শহীদের আত্ম বলিদান সেদিনই
সার্থক হবে যেদিন বাংলার কৃষক, শ্রমিক, মেহনতী মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে। আমরা আবারো স্মরণ করি সেইসব মুক্তিযোদ্ধাদেরে যারা জীবনবাজী রেখে আমাদের জন্য রক্তিম সূর্য এনে দিয়েছিলেন। আজ বারবার মনে পড়ে সেই বিখ্যাত গানটি, হয়ত বা ইতিহাসে তোমাদের নাম লেখা রবে না,বড় বড় লোকেদের ভীড়ে
জ্ঞানী আর গুনীদের আসরে,তোমাদের কথা কেউ কবে না। তোমাদের কথা রবে সাধারণ মানুষের ভীড়ে,মাঠে মাঠে কিষাণের মুখে,ঘরে ঘরে কিষাণীর বুকে।