গতকাল সোমবার রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে সরকার বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ তুলে ধরেছে বিএনপি। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ রূপরেখা তুলে ধরেন। সেগুলো হচ্ছে
সংবিধান সংস্কার, ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন কমিশন, নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা প্রবর্তন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন পরপর দুই টার্মের অতিরিক্ত নয়, উচ্চ-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা’ প্রবর্তন, সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও
সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও বিশ্বাসযোগ্যতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জ্ঞান, প্রজ্ঞা, নীতিবোধ, বিচারবোধ ও সুনামের কঠোর মানদণ্ডে যাচাই করিয়া বিচারক নিয়োগ করা, প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠন, মিডিয়া কমিশন গঠন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও দুর্নীতি দমন আইন সংস্কার, ‘ন্যায়পাল’ নিয়োগ, সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা, অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন করা, ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’—এই মূলনীতির ভিত্তিতে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার ভোগ, শ্রমিকদের প্রাইজ ইনডেক্স বেজড ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা, ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা হইবে, শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান নৈরাজ্য দূর করিয়া জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া হইবে।নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করাসহ আরো কিছু রূপরেখা’ তুলে ধরেছে বিএনপি।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঘোষিত ‘১৯ দফা’ এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত বিএনপির ‘ভিশন-২০৩০’–এর আলোকে এই রূপরেখা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে বিএনপি সুত্রে জানা গেছে।