গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন।
গতকাল খালেদা জিয়াকে করোনারী কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন এ কথা জানান, ম্যাডামকে মেডিকেল বোর্ড সদস্যরা দেখার পর সবকিছু পর্যালোচনা করে সিসিইউ‘র সব সুবিধা সম্বলিত কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখানে ডাক্তারদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে উনি চিকিৎসাধীন আছেন।সোমবার (২৪ জুন) বিকেলে এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে ‘স্থায়ী পেস মেকার’ সফলভাবে বসানো। এরপর তাকে সিসিইউ‘তে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।এদিন দুপুরে অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে। মেডিকেল বোর্ডের এই বৈঠকে লন্ডন থেকে ডা. জোবায়দা রহমানসহ অষ্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।খালেদা জিয়ার হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। হার্টে তিনটি ব্লক ছিল। আগে একটা রিং পরানো হয়েছিল। সবকিছু পর্যালোচনা করে বিদেশি চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে পেসমেকার বসানো হয়েছে বলে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক জানান।
এদিকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরাসরি অভিযোগ করে বলেছেন সরকার প্রধানের রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয়া হচ্ছে না।