১১:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
রম্য রচনা

বল্টুর নতুন ভাবনা

রোববার। ছুটির দিন। গিন্নী বাড়ীতে নেই। অন্য রকম একটা আনন্দ, কেমন যেন একটু স্বাধীন স্বাধীন লাগছে। ফুরফুরে মেজাজ। দিনটাকে একটু অন্যরকম ভাবে উদযাপন করার চিন্তা ভাবনা করছি। জানালার পর্দা তুলে দেখি বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। মিশিগানে সাধারণত এরকম বৃষ্টি হয় না। কিন্তু গত ২/৩ বছর আবহাওয়া যেন তার মতিগতি পাল্টে ফেলেছে। দরজা খুলে বাইরে বারান্দায় বসে বৃষ্টিটাকে উপভোগ করতে চাইলাম কিন্তু কনকনে ঠান্ডা বাতাসে তা আর হয়ে উঠলো না। ঘরে ঢুকতেই ভাগনে বল্টুর ফোন।

মামা কেমন আছেন

এইতো চলে যাচ্ছে আর কি

না মানে সামার তো চলে আসছে

সে তো ভাল

ভাল, কিন্তু সময় তো কম, এই ধরেন জুন, জুলাই, আগষ্ট এই তিন মাস,এরপরেই তো আবার ঠান্ডা।

তাতে সমস্যা কি

না সমস্যা না, তবে প্রবাসী বাঙ্গালির সব অনুষ্ঠানতো এই তিন মাস কেন্দ্রীক। যেমন ধরেন মেলা, খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পিকনিক, সম্বর্ধনা, পুনর্মিলনী, পুরষ্কার বিতরণী, সুইট সিক্সটিন, গ্রাজুয়েশান পার্টি, বিয়ে ইত্যাদি ইত্যাদি।

তাতে তোমার সমস্যা কি

ছবি : সংগৃহিত

না মানে আমার কোন সমস্যা না তবে আমি ভাবছি, এই তিন মাসকে কেন্দ্র করে নতুন কিছু করা যায় কিনা। যেমন পয়সা কড়ি কামানোর কোন ধান্ধা বের করা  যায় কি না।

সবকিছুর মধ্যেই ধান্ধা খুঁজতে হবে কেন, ভাল কিছু করো।

ভাল কিছু করারই চিন্তা ভাবনা করছি, যাতে কমুঊনিটির উপকার হয়।

সেটা কি রকম?

এই ধরেন প্রবাসের যান্ত্রিক জীবনে মানুষ খুব ব্যস্ত। ব্যস্ততার জন্য ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মানুষ অনেক কিছু করতে পারে না, আমরা সেটা করে দেবো বিনিময়ে সামান্য হাদিয়া নিবো এই আর কি।

আমরা মানে তোমার সাথে কি আরো কেউ আছে

না মামা। রাজনীতিবিদদের মতো বললাম আর কি। ‘আমরা’ বললে শুনতে ভাল শুনায়, কিন্তু কাজ তো করবো আমি একাই, সুতরাং পকেট ভরবো আমিই। একের অধিক থাকলেই দল ভাঙ্গার একটা সম্ভাবনা থেকেই যায়, তাই আর রিস্কটা নিলাম না। মাঝে মাঝে তো নিজের সাথেই নিজের বনিবনা হয় না।

তা ভালো, তো কি কি কাজ করবে

ছবি : পার্থ দেব

এই ধরেন, মিশিগানে এখন বাংলাদেশী রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সংখ্যা প্রায় চারশত। এবার এখনো অনেকেই ফিস দিয়েও পিকনিক স্পট পাচ্ছে না, আমরা তাদেরে সেটা ব্যবস্থা করে দিবো।

ফিস দিয়ে পাচ্ছে না তাহলে তুমি কোথা থেকে দিবে

আছে মামা, ফিস ছাড়াও জায়গা পাওয়া যায়, আম পাবলিক তো সেটার খবর রাখে না বা জানেও না, আমরা সেটার ব্যবস্থা করে দেবো, সামান্য ফিস নেবো।

আর কি কি আছে  

এ ছাড়াও আমাদের অনেক প্যাকেজ ডিল আছে মামা

সেটা কি

এই ধরেন মামা, বাঙ্গালি জাতি কিন্তু বক্তৃতা দিতে খুব পছন্দ করে, এখন পয়সা কড়ি খরচ করেও বক্তৃতা দিতে চায়

বক্তৃতা তো কেউ শুনতে চায় না

আরে মামা কেউ শুনুক না শুনুক বলতে অসুবিধা কি

তা ঠিক কিন্তু এই বক্তৃতার ব্যাপারে তোমরা কি করবে 

এই ধরেন খেলা, মেলা, ভেলা এসবের প্রাইম টাইমে আমরা আপনার ভাষণের ব্যবস্থা করে দিবো আপনি আমাদেরে একটা ন্যূনতম ফিস দিবেন।

এই প্রাইম টাইমটা কি?

যেমন খেলা শেষে পুরষ্কার বিতরণীর পূর্ব মূহূর্ত, মেলায় সবশেষে যখন বিশেষ শিল্পী গান পরিবেশন করবেন এর আগ মূহূর্ত।

আর ঐ ভেলাটা কি

ছবি : পার্থ দেব

এটা আমাদের নতুন আবিষ্কার মামা। দেশে নৌকা বাইচ দেখেছেন, বিদেশে বোট প্রতিযোগিতা দেখেছেন। আমরা এখানে একটু ভিন্নভাবে ভেলা প্রতিযোগিতার আয়োজন করবো। ভেলা বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠবে গ্রাম বাংলার মুখ, সোঁদা মাটির গন্ধ। মিশিগানে প্রচুর হ্রদ (লেক) আছে, তার কোন একটিতে শুভ লগ্ন দেখে শুরু করে দিবো। বাঙ্গালির একটা গুণ আছে নতুন কিছু পেলেই হামলে পড়ে। লেবুতিতা না হওয়া পর্যন্ত এর পিছু ছাড়ে না।

এটা তো নতুন কিছু না, নতুন বোতলে পুরানো খুশীজল। তো তোমাদের প্রতিষ্ঠানের নাম কি?

মাল্টি পারপাস হেল্প লাইন

বাংলা নাম হলে ভাল হতো না

আরে মামা এখন ফেব্রুয়ারী মাস নাকি?

তোমাদের অফিসটা কোথায় হচ্ছে, মানে কোন সিটিতে

আমাদের চিন্তা ভাবনা হচ্ছে হ্যামট্রাম্যাক সিটির বাংলাদেশ অ্যাভিনিউ(কনান্ট অ্যাভিনিউ)

কেন?

এখানে আমাদের আবেগ, সেন্টিম্যান্টের একটা বিষয় রয়েছে। এখানেই আমাদের প্রবাসী বাঙ্গালির শেকড়।

তোমাদের ওখানে আর কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে  

যেমন ধরেন আপনি সম্বর্ধনা, পুনর্মিলনী, পুরষ্কার বিতরণী, সুইট সিক্সটিন, গ্রাজুয়েশান পার্টি করতে চান আমরা স্বল্প খরচে সুন্দরভাবে এসবের ব্যবস্থা করে দিবো।

এতোসব তুমি একা সামাল দিবে কিভাবে

না মামা সাথে মফিজ, মদন, রতন এরা থাকবে সাহায্যকারি হিসাবে

তা ব্যবসা বাণিজ্য কেমন হবে মনে হচ্ছে

ছবি : পার্থ দেব

মামা মিশিগানে এখন প্রায় ৭০/৮০ হাজার প্রবাসী বাঙ্গালির বাস। এই লাইনে আমরাই প্রথম এবং আমাদের কোন প্রতিদ্বন্ধী নেই তাই ব্যবসা হবে একচেটিয়া।

শুনেন নাই কাপড়ের ব্যবসা এখন প্রায় ঘরে ঘরে। তাই বলে ব্যবসা কি কমেছে।

ঘরে ঘরে মানে কি বলতে চাইছো।

মামা অনলাইনে এখন প্রচুর কাপড়ের দোকান

সেটাতো ভাল, তো তোমাদের অনলাইন ব্যবসা থাকবে তো

তা থাকবে, জমে গেলেতো পুরাটাই অনলাইনে চলে যাবে। তাছাড়া আমরা আরেকটি কাজ করার চিন্তা ভাবনা করছি, সেটা হচ্ছে, এই যে বড় বড় কফিল আছেন যাদের সাথে আম জনতা ভিড়তে পারে না তাদের সাথে স্বাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করে দিবো। কোন বিশেষ অনুষ্ঠানে আপনাকে বিশেষ অতিথি, প্রধান অতিথি করে দেয়ার কাজও আমরা করবো।

প্রচারেই প্রসার, তোমরা প্রচারের কি ব্যবস্থা করেছো

মামা ব্যানার, ফ্যাষ্টুন, সাইনবোর্ড, ফেসবুক, ইউটিউব,টিভি চ্যানেল সব রেডি একটা শুভক্ষণ দেখে শুরু করে দিবো।

তোমার মাথায় এই বুদ্ধি আসলো কিভাবে?

দেখেন মামা ব্যবসার উপরে কিছু নাই। আপনি ব্যবসায়ী হলে ব্যাংক লোন পাবেন, সন্মান পাবেন, চেয়ার পাবেন, পত্রিকায়, টিভি চ্যানেলে স্বাক্ষাৎকার দিতে পারবেন। ভাগ্য ভাল থাকলে ব্যবসা করবেন মিশিগান নমিনেশান পাইবেন চাইলতাপুর আসনে।    

ভাল, তাহলে শুরু করে দাও

মামা আপনার একটু দোয়া

দোয়া তো থাকবেই এখন সব কিছুইতো দোয়ার ওপরে চলতেছে।

Tag :
About Author Information

রম্য রচনা

বল্টুর নতুন ভাবনা

আপডেট টাইম : ০১:৪২:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

রোববার। ছুটির দিন। গিন্নী বাড়ীতে নেই। অন্য রকম একটা আনন্দ, কেমন যেন একটু স্বাধীন স্বাধীন লাগছে। ফুরফুরে মেজাজ। দিনটাকে একটু অন্যরকম ভাবে উদযাপন করার চিন্তা ভাবনা করছি। জানালার পর্দা তুলে দেখি বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। মিশিগানে সাধারণত এরকম বৃষ্টি হয় না। কিন্তু গত ২/৩ বছর আবহাওয়া যেন তার মতিগতি পাল্টে ফেলেছে। দরজা খুলে বাইরে বারান্দায় বসে বৃষ্টিটাকে উপভোগ করতে চাইলাম কিন্তু কনকনে ঠান্ডা বাতাসে তা আর হয়ে উঠলো না। ঘরে ঢুকতেই ভাগনে বল্টুর ফোন।

মামা কেমন আছেন

এইতো চলে যাচ্ছে আর কি

না মানে সামার তো চলে আসছে

সে তো ভাল

ভাল, কিন্তু সময় তো কম, এই ধরেন জুন, জুলাই, আগষ্ট এই তিন মাস,এরপরেই তো আবার ঠান্ডা।

তাতে সমস্যা কি

না সমস্যা না, তবে প্রবাসী বাঙ্গালির সব অনুষ্ঠানতো এই তিন মাস কেন্দ্রীক। যেমন ধরেন মেলা, খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পিকনিক, সম্বর্ধনা, পুনর্মিলনী, পুরষ্কার বিতরণী, সুইট সিক্সটিন, গ্রাজুয়েশান পার্টি, বিয়ে ইত্যাদি ইত্যাদি।

তাতে তোমার সমস্যা কি

ছবি : সংগৃহিত

না মানে আমার কোন সমস্যা না তবে আমি ভাবছি, এই তিন মাসকে কেন্দ্র করে নতুন কিছু করা যায় কিনা। যেমন পয়সা কড়ি কামানোর কোন ধান্ধা বের করা  যায় কি না।

সবকিছুর মধ্যেই ধান্ধা খুঁজতে হবে কেন, ভাল কিছু করো।

ভাল কিছু করারই চিন্তা ভাবনা করছি, যাতে কমুঊনিটির উপকার হয়।

সেটা কি রকম?

এই ধরেন প্রবাসের যান্ত্রিক জীবনে মানুষ খুব ব্যস্ত। ব্যস্ততার জন্য ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মানুষ অনেক কিছু করতে পারে না, আমরা সেটা করে দেবো বিনিময়ে সামান্য হাদিয়া নিবো এই আর কি।

আমরা মানে তোমার সাথে কি আরো কেউ আছে

না মামা। রাজনীতিবিদদের মতো বললাম আর কি। ‘আমরা’ বললে শুনতে ভাল শুনায়, কিন্তু কাজ তো করবো আমি একাই, সুতরাং পকেট ভরবো আমিই। একের অধিক থাকলেই দল ভাঙ্গার একটা সম্ভাবনা থেকেই যায়, তাই আর রিস্কটা নিলাম না। মাঝে মাঝে তো নিজের সাথেই নিজের বনিবনা হয় না।

তা ভালো, তো কি কি কাজ করবে

ছবি : পার্থ দেব

এই ধরেন, মিশিগানে এখন বাংলাদেশী রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সংখ্যা প্রায় চারশত। এবার এখনো অনেকেই ফিস দিয়েও পিকনিক স্পট পাচ্ছে না, আমরা তাদেরে সেটা ব্যবস্থা করে দিবো।

ফিস দিয়ে পাচ্ছে না তাহলে তুমি কোথা থেকে দিবে

আছে মামা, ফিস ছাড়াও জায়গা পাওয়া যায়, আম পাবলিক তো সেটার খবর রাখে না বা জানেও না, আমরা সেটার ব্যবস্থা করে দেবো, সামান্য ফিস নেবো।

আর কি কি আছে  

এ ছাড়াও আমাদের অনেক প্যাকেজ ডিল আছে মামা

সেটা কি

এই ধরেন মামা, বাঙ্গালি জাতি কিন্তু বক্তৃতা দিতে খুব পছন্দ করে, এখন পয়সা কড়ি খরচ করেও বক্তৃতা দিতে চায়

বক্তৃতা তো কেউ শুনতে চায় না

আরে মামা কেউ শুনুক না শুনুক বলতে অসুবিধা কি

তা ঠিক কিন্তু এই বক্তৃতার ব্যাপারে তোমরা কি করবে 

এই ধরেন খেলা, মেলা, ভেলা এসবের প্রাইম টাইমে আমরা আপনার ভাষণের ব্যবস্থা করে দিবো আপনি আমাদেরে একটা ন্যূনতম ফিস দিবেন।

এই প্রাইম টাইমটা কি?

যেমন খেলা শেষে পুরষ্কার বিতরণীর পূর্ব মূহূর্ত, মেলায় সবশেষে যখন বিশেষ শিল্পী গান পরিবেশন করবেন এর আগ মূহূর্ত।

আর ঐ ভেলাটা কি

ছবি : পার্থ দেব

এটা আমাদের নতুন আবিষ্কার মামা। দেশে নৌকা বাইচ দেখেছেন, বিদেশে বোট প্রতিযোগিতা দেখেছেন। আমরা এখানে একটু ভিন্নভাবে ভেলা প্রতিযোগিতার আয়োজন করবো। ভেলা বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠবে গ্রাম বাংলার মুখ, সোঁদা মাটির গন্ধ। মিশিগানে প্রচুর হ্রদ (লেক) আছে, তার কোন একটিতে শুভ লগ্ন দেখে শুরু করে দিবো। বাঙ্গালির একটা গুণ আছে নতুন কিছু পেলেই হামলে পড়ে। লেবুতিতা না হওয়া পর্যন্ত এর পিছু ছাড়ে না।

এটা তো নতুন কিছু না, নতুন বোতলে পুরানো খুশীজল। তো তোমাদের প্রতিষ্ঠানের নাম কি?

মাল্টি পারপাস হেল্প লাইন

বাংলা নাম হলে ভাল হতো না

আরে মামা এখন ফেব্রুয়ারী মাস নাকি?

তোমাদের অফিসটা কোথায় হচ্ছে, মানে কোন সিটিতে

আমাদের চিন্তা ভাবনা হচ্ছে হ্যামট্রাম্যাক সিটির বাংলাদেশ অ্যাভিনিউ(কনান্ট অ্যাভিনিউ)

কেন?

এখানে আমাদের আবেগ, সেন্টিম্যান্টের একটা বিষয় রয়েছে। এখানেই আমাদের প্রবাসী বাঙ্গালির শেকড়।

তোমাদের ওখানে আর কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে  

যেমন ধরেন আপনি সম্বর্ধনা, পুনর্মিলনী, পুরষ্কার বিতরণী, সুইট সিক্সটিন, গ্রাজুয়েশান পার্টি করতে চান আমরা স্বল্প খরচে সুন্দরভাবে এসবের ব্যবস্থা করে দিবো।

এতোসব তুমি একা সামাল দিবে কিভাবে

না মামা সাথে মফিজ, মদন, রতন এরা থাকবে সাহায্যকারি হিসাবে

তা ব্যবসা বাণিজ্য কেমন হবে মনে হচ্ছে

ছবি : পার্থ দেব

মামা মিশিগানে এখন প্রায় ৭০/৮০ হাজার প্রবাসী বাঙ্গালির বাস। এই লাইনে আমরাই প্রথম এবং আমাদের কোন প্রতিদ্বন্ধী নেই তাই ব্যবসা হবে একচেটিয়া।

শুনেন নাই কাপড়ের ব্যবসা এখন প্রায় ঘরে ঘরে। তাই বলে ব্যবসা কি কমেছে।

ঘরে ঘরে মানে কি বলতে চাইছো।

মামা অনলাইনে এখন প্রচুর কাপড়ের দোকান

সেটাতো ভাল, তো তোমাদের অনলাইন ব্যবসা থাকবে তো

তা থাকবে, জমে গেলেতো পুরাটাই অনলাইনে চলে যাবে। তাছাড়া আমরা আরেকটি কাজ করার চিন্তা ভাবনা করছি, সেটা হচ্ছে, এই যে বড় বড় কফিল আছেন যাদের সাথে আম জনতা ভিড়তে পারে না তাদের সাথে স্বাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করে দিবো। কোন বিশেষ অনুষ্ঠানে আপনাকে বিশেষ অতিথি, প্রধান অতিথি করে দেয়ার কাজও আমরা করবো।

প্রচারেই প্রসার, তোমরা প্রচারের কি ব্যবস্থা করেছো

মামা ব্যানার, ফ্যাষ্টুন, সাইনবোর্ড, ফেসবুক, ইউটিউব,টিভি চ্যানেল সব রেডি একটা শুভক্ষণ দেখে শুরু করে দিবো।

তোমার মাথায় এই বুদ্ধি আসলো কিভাবে?

দেখেন মামা ব্যবসার উপরে কিছু নাই। আপনি ব্যবসায়ী হলে ব্যাংক লোন পাবেন, সন্মান পাবেন, চেয়ার পাবেন, পত্রিকায়, টিভি চ্যানেলে স্বাক্ষাৎকার দিতে পারবেন। ভাগ্য ভাল থাকলে ব্যবসা করবেন মিশিগান নমিনেশান পাইবেন চাইলতাপুর আসনে।    

ভাল, তাহলে শুরু করে দাও

মামা আপনার একটু দোয়া

দোয়া তো থাকবেই এখন সব কিছুইতো দোয়ার ওপরে চলতেছে।