প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে। সেতুতে যে স্প্যানগুলো বসাচ্ছে, এগুলো তার কাছে ছিল জোড়াতালি দেওয়া। বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না। চড়লে ভেঙে পড়বে। আবার তার সঙ্গে কিছু দোসরেরও ছিল,তাদেরকে এখন কী করা উচিত? পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত।’
গত মঙ্গলবার ছিল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এ উপলক্ষে গত বুধবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপকমিটি। এতে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি এ কথাগুলো বলেন। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাকে এমডিই থাকতে হবে। তার বয়সে কুলায় না। তিনি মামলা করলেন, মামলায় হেরে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দিলেন।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ যে নিজের অর্থায়নে পদ্মা সেতু করতে পারে, সেটা আজকে আমরা প্রমাণ করেছি। তিনি আরো বলেন,‘তাকে পদ্মা নদীতে দুইটা চুবানি দিয়ে তোলা উচিত।’
প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, , ‘এসব কথা আমরা ইগনোর করি। এসব অপ্রকৃতিস্থ লোকদের মতো কথা।’, ‘পদ্মা সেতু কি ওনাদের পৈতৃক সম্পত্তি দিয়ে বানিয়েছেন, নাকি আমাদের জনগণের টাকা দিয়ে বানিয়েছেন। পুরোটাই তো আমাদের পকেটের টাকা কেটে নিয়েছেন। ১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ৩০ হাজার কোটি টাকাতে নিয়ে ওখান থেকে চুরি করেছেন। সুতরাং এসব কথা তাঁদের মুখে শোভা পায় না।’